ঢাকা,  শুক্রবার
২০ ডিসেম্বর ২০২৪

The Daily Messenger

মুম্বাইয়ে ফেরির সঙ্গে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের সংঘর্ষ, নিহত ১৩

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:১৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪

মুম্বাইয়ে ফেরির সঙ্গে নৌবাহিনীর স্পিডবোটের সংঘর্ষ, নিহত ১৩

ছবি : সংগৃহীত

ইঞ্জিন পরীক্ষার সময় ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে যাত্রীবাহী ফেরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল বুধবার মুম্বাই উপকূলে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়।

নৌবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, এ দুর্ঘটনায় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা এবং যন্ত্রাংশ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের দুই কর্মীসহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নৌবাহিনী জানায়, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার দিকে, তাদের একটি স্পিডবোটের ইঞ্জিন পরীক্ষা করা হচ্ছিল। এ সময় স্পিডবোটটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুম্বাইয়ের করঞ্জা থেকে রওনা দেওয়া নীল কমল নামের ওই যাত্রীবাহী ফেরির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফেরিটি এলিফ্যান্টা দ্বীপে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিল।

ফেরির ক্যামেরায় ধারণ করা দুর্ঘটনার একটি ভিডিও থেকে দেখা যায়, নৌবাহিনীর স্পিডবোটে পাঁচ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে ফেরিতে ছিলেন ১১০ জন যাত্রী। তাদের মধ্যে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ১০০ জন রক্ষা পেয়েছেন।

আরও কিছু ভিডিওতে দেখা যায়, লাইফ জ্যাকেট পরা যাত্রীদের উদ্ধার করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘মুম্বাইয়ের নৌ দুর্ঘটনাটি দুঃখজনক। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, সেই প্রার্থনা করি।’

প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মুম্বাই বন্দরে যাত্রীবাহী ফেরি এবং নৌবাহিনীর স্পিডবোটের সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত।’

দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারপ্রতি ৫ লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডনবিস। তিনি জানান, এ দুর্ঘটনায় আর কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কি না তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। পুলিশ ও নৌসেনা এ নিয়ে পৃথকভাবে তদন্ত চালাচ্ছে।

এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জানান, ভারতীয় নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ড যৌথভাবে উদ্ধার অভিযান চালিয়েছে। এ ছাড়াও পুলিশ, জওহরলাল নেহেরু বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জেলেরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন।

মেসেঞ্জার/তারেক