ছবি : সংগৃহীত
ইয়েমেনে বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে একাধিক বড় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে চালানো এ হামলাগুলোতে ৯ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন।
হুতি সমর্থিত আল-মাসিরাহ টিভি চ্যানেলের প্রতিবেদনে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে ইয়েমেনের রাজধানী সানা ও বন্দরনগরী হোদেইদাতে ধ্বংসাত্মক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সানায় অবস্থিত দুটি কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎকেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। অন্যদিকে হোদেইদাহতে বন্দর লক্ষ্য করে চারটি হামলা এবং একটি তেল স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
আল-মাসিরাহ জানায়, ইয়েমেনের সালিফ বন্দরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৭ জন এবং রাস ইসা তেল স্থাপনায় দুটি হামলায় ২ জন নিহত ও ১ জন আহত হন। অন্যদিকে হোদেইদাহ বন্দরে ৭টি ইসরায়েলি বিমান হামলায় ২ জন নাগরিক আহত হয়েছেন। অন্যদিকে সানার দক্ষিণে হাজিজ বিদ্যুৎকেন্দ্র ৪টি এবং উত্তরে ধাবহান বিদ্যুৎকেন্দ্র ২টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
প্রতিবেদনে আরও জানা যায়, ধাবহান কেন্দ্রের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও হাজিজ কেন্দ্রের আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি সিভিল ডিফেন্স সার্ভিস।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানা যায়, এক বিবৃতিতে ইসরায়েল বলেছে, ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজের অনুমোদন পেয়ে পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলে এবং ইয়েমেনের অভ্যন্তরে হুতি ‘সন্ত্রাসী’দের সামরিক লক্ষ্যবস্তু লক্ষ্য করে আক্রমণ চালানো হয়েছে।’
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, ‘সানা শহরের হুতি সামরিক স্থাপনা, বন্দর এবং জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এর আগে, গত রাতে ইসরায়েলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল হুতিরা। তবে তা ধ্বংস করে ইসরায়েলিরা।’
এদিকে, এক মার্কিন কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে (এপি) জানান, ইয়েমেনে চালানো এই হামলাগুলোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র জড়িত নয়। তবে, অ্যাক্সিওস একটি মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইয়েমেনে অভিযান চালানোর বিষয়ে আগেই যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছিল ইসরায়েল।
মেসেঞ্জার/তারেক