ঢাকা,  বুধবার
০৮ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১৭, ৭ জানুয়ারি ২০২৫

৭.১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল নেপাল

ছবি: সংগৃহীত

শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে হিমালয় অঞ্চলের দেশ নেপাল। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ১। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এই তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে নেপালি সংবাদমাধ্যম কাঠমুন্ডু পোস্টেও ভূমিকম্পের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অবশ্য কম্পনের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানা যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে (ইউএসজিএস) এর তথ্য অনুসারে, নেপালের লোবুচের কাছে ৭.১ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লোবুচে থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরে এবং ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরতায় ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ৫১ মিনিটে কাঠমান্ডু ও আশপাশের জেলাগুলোতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। খবরে বলা হয়েছে, ধাদিং, চিতওয়ান, সিন্ধুপালচোক, কাভরে এবং মাকওয়ানপুর জেলাতেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।

তবে নেপালি এই সংবাদমাধ্যমটি তাদের প্রতিবেদনে তাৎক্ষণিকভাবে নেপালে কোনও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া বলে জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নেপালে ভূমিকম্প সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া নেপাল বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। যার কারণে দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি সবসময় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকে।

উল্লেখ্য, নেপালে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু ভূমিকম্পে ব্যাপক প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। ২০১৫ সালের ২৫ এপ্রিল রাজধানী কাঠমান্ডু এবং পোখারা শহরের মধ্যবর্তী স্থানে রিখটার স্কেলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে দেশটিতে অন্তত ৮ হাজার ৯৬৪ জন নিহত এবং প্রায় ২২ হাজার মানুষ আহত হন।

‘গোর্খা ভূমিকম্প’ নামে পরিচিত সেই ভূমিকম্পের আঘাতে উত্তর ভারতের বেশ কয়েকটি শহরও কেঁপে উঠেছিল। এর পাশাপাশি কম্পন অনুভূত হয়েছিল পাকিস্তানের লাহোরে, তিব্বতের লাসা এবং বাংলাদেশের ঢাকাতেও। সেই ভূমিকম্পের পর কাঠমান্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এছাড়া ওই ভূমিকম্পে মাউন্ট এভারেস্টে তুষারপাতের ঘটনা ঘটে। এতে ২২ জনের মৃত্যু হয়। পরে একই বছরের ১২ মে বড় ধরনের আফটারশক অনুভূত হয়। এই আফটারশকের কেন্দ্রস্থল ছিল কাঠমান্ডু এবং মাউন্ট এভারেস্টের মধ্যবর্তী চীন সীমান্তের কাছের অঞ্চল। এতে ২০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা যান এবং আহত হন ২ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি।

মেসেঞ্জার/জেআরটি