ঢাকা,  শুক্রবার
২৪ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত

মেসেঞ্জার ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩১, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত

ছবি : সংগৃহীত

চলমান ইউক্রেন যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার প্রায় ১০০০ সেনা নিহত হয়েছেন। এমনটাই জানিয়েছেন পশ্চিমা কর্মকর্তারা। রাশিয়ার সীমান্তবর্তী কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা নিহত হন।

এইসব কোরিয়ান সৈন্যকে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে সে দেশে পাঠানো হয়েছিল। বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। এরপর রুশ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে পিয়ংইয়ং হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ান সৈন্যকে রাশিয়াতে পাঠিয়েছে। এমনকি কুরস্ক সীমান্তেও উত্তর কোরিয়ার সৈন্য মোতায়েন আছে। সেখানেই ঘটেছে এই প্রাণহানির ঘটনা।

পশ্চিমা কর্মকর্তারা বিবিসিকে বলেছেন, মাত্র তিন মাসে রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় কুরস্ক অঞ্চলে লড়াইয়ে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইতোমধ্যেই প্রায় ৪০ শতাংশ হতাহতের শিকার হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়া থেকে পাঠানো আনুমানিক ১১ হাজার সৈন্যের মধ্যে ইতোমধ্যেই ৪ হাজার সৈন্য যুদ্ধে নিহত, আহত, নিখোঁজ বা প্রতিপক্ষের হাতে বন্দি হয়েছেন।

কর্মকর্তারা বলেছেন, এই চার হাজার জনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার জনই জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে নিহত হয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে আহতদের কোথায় চিকিৎসা করা হচ্ছে, এমনকি কখন এবং কত সংখ্যক সৈন্য প্রতিস্থাপন করা হবে তাও এখনও স্পষ্ট নয়।

দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেইনের গোয়েন্দাদের হিসাবমতে, আনুমানিক ১১ হাজার উত্তর কোরীয় সেনাকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মোতায়েন হয়েছে কুরস্ক সীমান্তে অঞ্চলে ইউক্রেইনীয় সেনাদের বিরুদ্ধে লড়তে।

মূলত ২০২৪ সালের আগস্টে ইউক্রেইনীয় সেনারা আচমকা কুরস্কে ঢুকে লড়াই শুরুর পর অঞ্চলটির আংশিক নিয়ন্ত্রণ এখনও কিয়েভের এই সেনাদের হাতে রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনারা যুদ্ধের অভিজ্ঞতার অভাব এবং ভাষাগত সমস্যার মতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়ার মধ্যে সামরিক সখ্যতা গড়ে উঠে। ২০২৪ সালের জুনে ঐতিহাসিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করে উত্তর কোরিয়া এবং রাশিয়া, যা ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে কার্যকর হয়।

বিশ্লেষকরা বলেছেন, এই যুদ্ধে জড়িয়ে রাশিয়ার কাছ থেকে উন্নত প্রযুক্তির জ্ঞান অর্জন করতে চায় কিম জং উনের উত্তর কোরিয়া।

মেসেঞ্জার/তারেক