ছবি : সংগৃহীত
ভারতের উত্তরপ্রদেশে মহাকুম্ভ মেলায় পদদলনের শিকার হয়ে ৭ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত ১ টার দিকে প্রয়াগরাজ জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেলায় আগত পূণ্যার্থী জনতা গঙ্গাস্নানের উদ্দেশে মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকেই গঙ্গা নদীর তীরে জড়ো হয়েছিলেন। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সূর্য ওঠার আগেই স্নান শেষের বাধ্যবাধকতা থাকায় ব্যাপক ভিড় ছিল গঙ্গার তীরে। তবে ঠিক কী কারণে পদদলনের ঘটনা ঘটল— তা এখনও জানা যায়নি।
ঘটনাস্থলের বেশ কয়েকটি ছবি ও ভিডিও ফুটেজ রয়েছে রয়টার্সের কাছে। সেগুলোতে স্ট্রেচারে করে আহত ও নিহতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নদীর তীরে পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী ও অ্যাম্বুলেন্স ছিল। একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তিনি বেশ কয়েকটি মৃতদেহকে অ্যাম্বুলেন্সে তুলতে দেখেছেন।
রাভীন নামের অপর এক প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেন, “আমি দেখলাম হঠাৎ করে ছোটাছুটি হচ্ছে..হৈ চৈ, মহিলাদের কান্না… অনেক নারী ও শিশু ছিল ভিড়ের মধ্যে। হতাহতও মূলত হয়েছে তারাই।”
প্রসঙ্গত, ভারতীয় চান্দ্র পঞ্জিকা অনুসারে মঙ্গলবার ছিল মৌনী অমাবাস্যা। সনাতন ধনর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, এ তিথিতে প্রয়াগরাজের গঙ্গা, যমুনা ও স্বরস্বতী নদীর সঙ্গমে স্নান করলে অশেষ পূণ্য অর্জিত হয়। এ কারণেই মঙ্গলবার এত ভিড় ছিল সেখানে।
এ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে টেলিফোন করেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। টেলিফোনে আদিত্যনাথকে ঘটনায় আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
ভারতের কুম্ভ মেলা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় সমাগম হিসেবে পরিচিত। প্রতি ১২ বছর পর পর হয় এই মেলা এবং এতে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে জড়ো হন কয়েক কোটি পূন্যার্থী।
তবে এবার যে মেলা হচ্ছে, সেটির নাম মহাকুম্ভ মেলা। ১৪৪ বছর পর পর উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে এ মেলা হয়। সরকারি তথ্য অনুসারে, এবারের মেলায় ভারত, নেপাল ও বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে এসেছেন অন্তত ১৪ কোটি ৮০ লাখ পূণ্যার্থী।
জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে শুরু হয়েছে মহাকুম্ভ মেলা; চলবে আরও চার সপ্তাহ।
মেসেঞ্জার/তারেক