
ছবি : সংগৃহীত
সেই ১৯৯৩ সালে দিল্লির বিধানসভা ভোটে সর্বশেষ জয় পেয়েছিল বিজেপি। তার প্রায় ৩২ বছর পর চলতি ২০২৫ সালে ফের ভারতের রাজধানী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জয়ের আভাস পাচ্ছে দলটি। বুথফেরত জরিপের পরিসংখ্যান সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিল্লি বিধানসভার ভোটগ্রহণ হয়েছে, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) তার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করার কথা নির্বাচন কমিশনের। তাই ভোটের গণনাও শেষের পথে।
দিল্লির বিধানসভায় মোট আসনসংখ্যা ৭০টি। সরকার গঠন করতে হলে যে কোনো দল বা জোটকে অন্তত ৩৬টি আসনে জয়ী হতে হবে। বুথফেরত জরিপের ফলাফল বলছে, প্রায় ৪১টি আসনে এগিয়ে আছেন বিজেপির প্রার্থীরা। বাকি ২৯টি আসনের মধ্যে ২৮টিতে বর্তমানে ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টি (এএপি/আপ) এবং ১টিতে এগিয়ে আছেন কংগ্রেসের প্রার্থী।
বিজেপির দিল্লি শাখার প্রেসিডেন্ট বীরেন্দ্র সাচদেব শনিবার সকালে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বিধানসভার ৫০টি আসনে তার দল জয় পাবে বলে আশা করছেন তিনি। সাচদেব বলেন, “অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দুর্নীতিগ্রস্ত, নৈরাজ্যবাদী এবং অদক্ষ আপ সরকার দেখতে দেখতে দিল্লিবাসী বিরক্ত। তারা পরিবর্তন চান এবং ভোটের মাধ্যমে দিল্লির ভোটাররা সেই বার্তা দিচ্ছেন।”
বুথফেরত জরিপে জানা গেছে, দিল্লির বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অতিশী মার্লেনা এবং মনীষ সিসোদিয়া, গৌতম ভরদ্বাজসহ আপের বেশ কয়েকজন প্রথমসারির নেতা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের থেকে পিছিয়ে আছেন। এমনকি দলের প্রেসিডেন্ট এবং দিল্লির সাবেক মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিজেও গণনার প্রথম পর্যায়ে বেকায়দায় ছিলেন। পরে এগিয়ে আসতে থাকেন তিনি।
পরে ২০১৫ সালের নির্বাচেনে রেকর্ড ৬৭টি আসনে জয়ী হয় আম আদমি পার্টি। এর আগের কোনো নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দল এককভাবে এত সংখ্যক আসন পায়নি। তারপর ২০২০ সালের নির্বাচনে ৬২টি আসনে জয় পেয়ে ফের সরকার গঠন করে আপ।
তবে এই বড় বিজয় পাওয়া সত্ত্বেও সেবারের ৫ বছরে তিনবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছিল বিজেপিকে। প্রথমে মদন লাল খুরানা, তারপর সাহেব সিং ভার্মা এবং সবশেষে সুষমা স্বরাজকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী করে। বলা হয়, সেই সময় পেঁয়াজের চড়া দামের ফলে বিজেপিকে দীর্ঘদিন ধরে তার মাশুল গুনতে হয়েছিল।
এরপর প্রায় তিন দশক ধরে দিল্লিতে আর ক্ষমতাতেই আসতে পারেনি বিজেপি।
মেসেঞ্জার/তারেক