
ছবি : মেসেঞ্জার
চীনের কুনমিং এ বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল এর উদ্যোগে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি বন্ধুদের অংশগ্রহণে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ পালিত হয়েছে।
একুশের প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল মো. খালেদ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণের মাধ্যমে দিবসটির কর্মসূচির সূচনা করেন। কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেট পরিবারের সদ্যসরা কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুস্তবক অর্পন করে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এরপর ২১ এর অনুষ্ঠানে আগত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ইউনানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশি বন্ধুরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন।
দিবসের কর্মসূচির দ্বিতীয়ভাগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ভাষা শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু হয়।
ভাষা শহীদ ও জুলাই গণঅভুত্থানের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা ও মাননীয় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। উপস্থিত অতিথিরা ভাষা আন্দোলন ও জুলাই গণঅভুত্থানের উপর নির্মিত ভিডিওচিত্র উপভোগ করেন। ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পরিবেশিত বাংলা গান উপস্থিত অতিথিদের আপ্লুত করে।
ভাষা দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক মিস গান লুটিং ভাষা আন্দোলন ও ক্ষুদ্র ভাষা ভাষিদের সংস্কুতি রক্ষায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্বের উপর আলোকপাত করে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কনসাল জেনারেল মো. খালেদ তার বক্তব্যে ৫২ এর ভাষা শহীদ ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে জানান, ভাষা আন্দোলন বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের প্রথম ধাপ এবং এরই পথ ধরে বাঙালি বিশ্বের বুকে স্বাধীন দেশ হিসাবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। তাই বাঙালির আত্মপরিচয় ২১শের চেতনা চির অম্লান থাববে। বার বার বাংলার মানুষের সংকট সময়ে অনুপ্রেরণার চিরন্তন উৎস হয়ে কাজ করবে। সেই সাথে তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ভাষা ভাষিদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সকলকে সজাগ ও সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পানিয় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
মেসেঞ্জার/সাইদুল/তুষার