ছবি : মেসেঞ্জার
বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। দেশের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচনী কার্যক্রম উপভোগ করছে। গ্রাম শহর নগর বন্দর সর্বত্রই আমরা দেখতে পাচ্ছি নির্বাচনী পোস্টার, ফেস্টুন, ব্যানার আর মাইকিং। প্রার্থীরা মানুষের হাতে হাতে লিফলেট বিতরণ করছেন। বিভিন্ন এলাকায় বর্ণাঢ্য কার্যক্রম চলছে যা চোখে পড়ার মতো। প্রার্থী ও তাদের অনুসারীরা ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন কেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে।
বাংলাদেশের প্রতিটি জাতীয় আয়োজন উৎসবের মেজাজে করার স্বভাব রয়েছে সব নাগরিকদের। ভোটও তাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। তাই তারা উদ্বিগ্ন এবং খুশি। এমতবস্থায় জনগণের একটি অংশ ইচ্ছাকৃতভাবে সেই ভোট ব্যবস্থায় যোগ দিতে এড়িয়ে যায় সেখানে আমরা এ-ও দেখতে পাই যে তারা জনগণকে ভোট না দেওয়ার জন্য জোর দিচ্ছে। এটা করা মোটেও উচিত নয় একই সাথে কেউ যেন জনগণকে ভোট দিতে বা ভোটের জন্য কাউকে বেছে নিতে বাধ্য না করে এ ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে।
নির্বাচন ও ভোট দান এটা গণতান্ত্রিক অধিকার। একইভাবে ভোট দেওয়া বা না দেওয়া ভোটারের গণতান্ত্রিক অধিকার।
এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সবকটি সংসদীয় আসনে প্রচারনায় ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। প্রতিটি প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণায় এতটাই ব্যস্ত যে তাদের খাওয়া দাওয়া এমনকি ঘুমানোরও সময় নেই। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরা জনসভা, উঠান বৈঠক প্রভৃতি নানাভাবে ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে ব্যস্ত। শীতের তীব্রতা উপেক্ষা করে সব দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দিনরাত তাদের নির্বাচনী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন, যা বিগত বছরগুলোর চেয়ে ভিন্নতা রয়েছে। সব প্রার্থীর লক্ষ্য একটাই নির্বাচনে জয়লাভ করা ও ভোটের মাঝে নির্বাচন কে পুনর্জীবিত করা।
আমরা আশা করি ৭ জানুয়ারি একটি খুবই খুশির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে বিশ্ব দেখবে.. হ্যাঁ বাংলাদেশ গণতন্ত্রের একটি উদাহরণ যেখানে নির্বাচন কমিশন সবকিছু স্বাধীনভাবে এবং সুষ্ঠুভাবে করছে। যেখানে মানুষ তাদের নিজস্ব মেজাজের উপর নির্ভর করে তাদের রায় দিতে পেরেছে। আশা করি এমনটাই হবে।
লেখক : নির্বাহী পরিচালক, ইলেকশন অবজারভার অ্যালায়েন্স
মেসেঞ্জার/সজিব