
ছবি: ডেইলি মেসেঞ্জার
জুনের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হবে। এতে আগামী অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায়েও আসন্ন বাজেট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। নানা কারণেই আগামী বাজেটের দিকে সব অংশীজনের রয়েছে প্রখর দৃষ্টি।
এটিই হবে নতুন সরকারের প্রথম বাজেট। আগামী পাঁচ বছরে অর্থনীতি কোন পথে চলবে তার দিকনির্দেশনা দেওয়ার কথা এই বাজেটে। তা ছাড়া এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেখা দিয়েছে টান টান উত্তেজনা। মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকট পুরো বিশ্বের অর্থনীতিকে এক নয়া অনিশ্চয়তার মধ্যে ফেলে দিতে পারে।
দেশের ভেতরেও দ্রব্যমূল্য, ব্যবসা-বাণিজ্যে বিনিয়োগের খরা এবং বৈদেশিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতার মতো বিষয়গুলো বেশ ঝুঁকিপূর্ণই মনে হচ্ছে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে বহিঃঅর্থনীতির চাপ, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সর্বোপরি আমাদের অভ্যন্তরীণ কাঠামোগত সংকটের কারণে বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনীতি একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। এই চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের বাজেট প্রণেতারা এবার কেমন পথনকশা হাজির করবেন, সেটি নিয়েই জনমনে বেশি আগ্রহ। আসছে অর্থবছরে বাজেট প্রণেতারা কি প্রবৃদ্ধি, নাকি সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার ওপর বেশি জোর দেবেন? নাকি দুই কূলই সামলে একটি ভারসাম্যপূর্ণ বাস্তবানুগ বাজেট দেবেন? নিজস্ব উৎস, না বাইরে থেকে সম্পদ সমাবেশের ওপর বেশি জোর দেবেন, নাকি দুইয়ের বিচক্ষণ মিশ্রণ ঘটাবেন?
দরকার ‘আয় বুঝে ব্যয় করা’র বাজেটনিঃসন্দেহে মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে জনজীবনকে (বিশেষ করে শহরের মানুষকে) যতটা সম্ভব সুরক্ষা দেওয়াই বাজেটের প্রধানতম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে মনে করি।
মূল্যস্ফীতির কারণে সামাজিক পিরামিডের পাটাতনে থাকা মানুষ যে বেশ কয়েক মাস ধরে চাপে আছে, তা মানতেই হবে। কৃষির প্রবৃদ্ধি ভালো হওয়া সত্ত্বেও সারা দেশের স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন চলা বেশ কষ্টকর হয়ে গেছে। সরকারের তরফ থেকে এক কোটি পরিবারকে কার্ডের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে নিত্যপণ্য সরবরাহ করার উদ্যোগটি এ ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর হয়েছে। এ রকম সময়োচিত উদ্যোগগুলো আরো বেশি বেশি করে নেওয়া দরকার। তা না হলে লাগাতার মূল্যস্ফীতির চাপ মোকাবেলা করতে গিয়ে দারিদ্র্যসীমার ওপরে উঠে আসা অনেক পরিবার নতুন করে দারিদ্র্যরেখার নিচে পড়ে যেতে পারে। বাজেটে তাই বিশেষে করে নিম্ন আয় শ্রেণির পরিবারগুলোকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য বাড়তি বরাদ্দ করতেই হবে।
একই সঙ্গে এটিও মানতে হবে যে সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার স্বার্থেই এবার হয়তো বাজেটের আকার খুব বেশি বাড়ানো যাবে না। মানতেই হবে, আমাদের প্রবৃদ্ধি বহুলাংশে সরকারি ব্যয়ের ওপর নির্ভরশীল। তাই কাটছাঁটের বাজেট করলে প্রবৃদ্ধি কিছুটা নিশ্চয় প্রভাবিত হবে। গত বছরের অক্টোবরে আইএমএফ চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ হবে—এমন প্রক্ষেপণ করলেও গত ১৬ এপ্রিল প্রকাশিত তাদের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক প্রতিবেদনে প্রক্ষেপণ আরো কমিয়ে ৫.৭ শতাংশ বলছে। বিশ্বব্যাংকের প্রক্ষেপণও এর ধারেকাছেই। এই প্রেক্ষপটে নতুন বছরের বাজেটে কাটছাঁট করলে প্রবৃদ্ধি আরো কমতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা করতে পারেন। তবে আমার মনে হয়, এখন প্রবৃদ্ধির চাকা গতিশীল করার চেয়ে সামষ্টিক অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখার দিকেই বেশি মনোযোগ দেওয়া দরকার। কেননা অল্প কিছু ব্যতিক্রম বাদে গোটা বিশ্বেই প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে আসছে। আইএমএফ বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বৈশ্বিক গড় প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ২.৪ শতাংশ। সামনের বছর সামান্য বেড়ে এই অনুপাত ২.৭ শতাংশ হবে। সে হিসেবে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপিত হারটি সন্তোষজনকই মনে হচ্ছে। কাজেই বেশি বেশি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গিয়ে বড় আকারের বাজেট প্রণয়ন না করাটিই কাম্য। কেননা ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগের হার যেহেতু বাড়ছে না, তাই সরকারি খরচের ওপর নির্ভরশীল বিনিয়োগ বাড়াতে গেলেই বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাবে। আমাদের বরং ‘আয় বুঝে ব্যয় করা’র নীতিই অনুসরণ করা উচিত।
মোটাদাগে আমাদের প্রবৃদ্ধির চাকা আগামী বছরও বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরের তুলনায় কিছুটা কম গতিশীল থাকবে। খাতওয়ারি প্রবৃদ্ধির দিকে নজর দিলে কিছুটা ভিন্ন চিত্র দেখি। চলতি অর্থবছরের মোট প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার পেছনে মূল কারণ শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধির ধীরগতি। সেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি কমেছে। অথচ কৃষি খাত এই দুর্যোগের সময়ও বর্ধিষ্ণু। পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রান্তিক ভিত্তিতে (কোয়ার্টারলি) যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক তথ্য প্রকাশ করছে, তা থেকে দেখা যাচ্ছে যে আগের অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অর্থাৎ অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়কালে) শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ১০ শতাংশ থাকলেও চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ৩.২৪ শতাংশে নেমে এসেছে। সেবা খাতের প্রবৃদ্ধিতে একই মাত্রার অবনমন না ঘটলেও তা কমেছে (৬.৬২ থেকে কমে ৩.০৬ শতাংশ হয়েছে)। অথচ কৃষির ক্ষেত্রে এই পয়েন্ট টু পয়েন্ট প্রবৃদ্ধির হার কমে না গিয়ে বরং বেড়েছে (৪.২২ থেকে বেড়ে ৪.৬৫ শতাংশ হয়েছে)। শ্রমশক্তির ৪০ শতাংশের মতো কৃষি খাতে নিয়োজিত—এই বিষয়টি বিবেচনায় নিলে কৃষি প্রবৃদ্ধির এমন বৃদ্ধির প্রকৃত গুরুত্বটি আমরা বুঝতে পারি। বলা যায়, দুর্যোগকালে কৃষিই আমাদের রক্ষা করছে। করোনাজনিত অচলাবস্থার সময়ও আমরা এমনটি দেখেছি। এখনো কৃষিই আমাদের সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে।
আসন্ন অর্থবছরে বরাদ্দ দেওয়ার সময় সামষ্টিক অর্থনীতির রক্ষাকবচ হিসেবে কৃষির এই ভূমিকাটি আমাদের বাজেট প্রণেতারা নিশ্চয় বিবেচনায় রাখবেন। তাঁদের কাছে প্রত্যাশা থাকবে কৃষি খাতে উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভর্তুকি দেওয়ার যে প্রশংসনীয় ধারা তাঁরা বিগত দেড় দশকে তৈরি করেছেন, তা আসছে বছরও বহাল রাখবেন। কেননা কৃষিতে এই ভর্তুকি আসলে এক ধরনের গণমুখী বিনিয়োগ। এ ছাড়া কিছু রাজস্ব সুবিধা বাড়িয়েও কৃষিকে প্রণোদিত করা যায়। যেমন—বিভিন্ন কৃষি উপকরণের (যেমন—সার, বীজ ইত্যাদি) ওপর আরোপিত ভ্যাট কিংবা রেগুলেটরি শুল্কের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দিলে কৃষি উৎপাদক থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত সবাই এর সুবিধা পাবে। এতে কৃষি প্রবৃদ্ধি একই মাত্রায় বা আরো বেশি বলশালী হবে। এর সুফল খাদ্য নিরাপত্তার ওপর পড়বে।
বাজেট প্রণয়নের সময় জনস্বার্থের বিবেচনায় আর যে বিষয়টির দিকে বিশেষ নীতি-মনোযোগ দরকার, সেটি হলো জ্বালানির দাম। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীদের পরামর্শ মতে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের উদ্যোগ ধাপে ধাপে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর প্রভাব বিদ্যুৎ ও পরিবহন খাতে পড়েছে। এরই মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি হওয়ায় বলা যায়, নিশ্চিতভাবেই আসছে অর্থবছরে বিশ্ববাজারে জ্বালানির দামে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করবে। এর প্রভাব থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা নিশ্চয় আমাদের বাজেট প্রণেতারা করবেন। জ্বালানির দাম খুব বেশি বেড়ে গেলে দরকারবোধে বাড়তি ভর্তুকি দেওয়ার জন্য কিছু সম্পদ বাজেটে আলাদা করে বরাদ্দ করা যেতে পারে। জনগণকে স্বস্তি দিতে এলপি গ্যাসে কিছু রাজস্ব ছাড়ের কথাও বিবেচনা করা যায়। ভারতে গৃহস্থালি কাজে ব্যবহূত এলপি গ্যাসের ক্ষেত্রে প্রশংনীয় মাত্রায় ছাড় দেওয়া হয়ে থাকে। সেখান থেকেও আমরা শিক্ষা নিতে পারি।
জ্বালানি সুরক্ষার জন্য দীর্ঘমেয়াদি নীতি-ভাবনারও দরকার আছে। জ্বালানি কেনাকাটার জন্য আমরা বেশি মাত্রায় ব্যক্তি খাতের ওপর নির্ভরশীল। সরকার এ ক্ষেত্রে ব্যক্তি খাতের গ্যারান্টর হিসেবে ভূমিকা রাখে। সরকার নিজে সরাসরি আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এলএনজি কেনা শুরু করলে কিছুটা সুবিধা পাওয়া যায় কি না, সেটি ভেবে দেখা দরকার। নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধানের কার্যক্রমও শুরু হওয়ার পথে। দেরিতে হলেও এটি একটি ইতিবাচক উদ্যোগ। এগুলো গতিশীল করার জন্যও বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। এ ছাড়া জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে সবুজ জ্বালানিমুখী হওয়ার জন্য মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানের পথনকশা অনুসরণ করা শুরু করতে হবে এখন থেকে। বিশেষ করে ব্যক্তি ও ছোটখাটো উদ্যোক্তা পর্যায়ে কী করে টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় তার প্রতিফলন এবারের বাজেটে দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
সবুজ জ্বালানির দিকে তো মনোযোগ বাড়াতেই হবে। তবে শুধু সেখানেই আটকে না থেকে পরিবেশবান্ধব টেকসই উন্নয়ন ভাবনার জায়গা থেকে পুরো জলবায়ু অর্থায়নের বিষয়টিকেই বেশি বেশি গুরুত্ব দিতে হবে আগামী দিনের বাজেটগুলোতে। বাংলাদেশকে জলবায়ু তহবিলের ন্যায্য হিস্যা দিতে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা বিশেষভাবে আগ্রহী। তাই জাতীয় বাজেটে জলবায়ুবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে বেশি অগ্রাধিকার দিতে পারলে সে জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন পাওয়া সহজ হবে। বাজেট প্রণেতাদের তাই প্রতিটি খাতের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোকে যতটা সম্ভব জলবায়ু সংবেদনশীল করে সাজাতে হবে। উন্নয়ন সহযোগীরা জলবায়ুসহিষ্ণু উন্নয়নের জন্য বড়মাপের অর্থায়ন করতে প্রস্তুত রয়েছেন বলে এরই মধ্যে ইঙ্গিত করেছেন। এবারের বাজেটে তাঁদের সেই অভিপ্রায়কে বাস্তবানুগ কর্মসূচিতে কী করে রূপান্তর করা সম্ভব তার দিকনির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ লক্ষ্যে জলবায়ু ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একযোগে কাজ করার অভিপ্রায়টি বাজেট বক্তৃতায় প্রতিফলনের সুযোগ রয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই অর্থায়ন বিভাগকে যুক্ত রাখা সমীচীন হবে।
সর্বোপরি বাজেট প্রণয়নের সময়ে ব্যয়ের পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আয়ের দিকে আমাদের নীতি-মনোযোগ আরো বাড়াতে হবে। এখনো আমাদের কর-জিডিপি অনুপাত ১০ শতাংশের নিচে। রাজস্ব আহরণ প্রক্রিয়ার ডিজিটাইজেশন করতে পারলে যে এ অনুপাত উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি পাবে, তা আমরা বেশ কয়েক বছর ধরেই বলে আসছি। ডিজিটাইজেশন শুরুও হয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়াকে আরো গতিশীল করা একান্ত জরুরি। ডিজিটাইজেশনের পাশাপাশি কর আহরণ বিষয়ক অনুশীলনগুলোতে কিছু পরিবর্তন করে বিদ্যমান উৎসগুলো থেকেই আরো বেশি বেশি কর আদায় সম্ভব। যেমন—সিগারেটের দাম প্রতিবছর বাজেটে অল্প অল্প করে বাড়ানো হয়। কিন্তু তামাকবিরোধী গবেষকদের হিসাব থেকে দেখা যাচ্ছে, এই ক্ষতিকারক পণ্যটির দাম এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়িয়ে তার থেকে কর আহরণ করলে একদিকে সিগারেটের ব্যবহার যেমন উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমবে, অন্যদিকে সিগারেট বিক্রি থেকে আরো বাড়তি ১০ হাজার কোটি টাকা কর পাওয়া সম্ভব। কর আহরণ বিষয়ে এমন উদ্ভাবনী সমাধানগুলো নিশ্চয় আমাদের বাজেট প্রণেতারা বিবেচনায় রাখবেন। বেশি বেশি কর আদায় হওয়া মানে সরকারের আয় বৃদ্ধি পাওয়া। আর আয় বাড়লে সরকারের ব্যয়ের সক্ষমতা বাড়বে। আর তাতেই জনগণের মঙ্গল। অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর জন্য এবারের বাজেটে হয়তো করছাড় ও প্রণোদনার নানা দিক যৌক্তিক করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। নিঃসন্দেহে এমন সংস্কার কাম্য। তবে খেয়াল রাখতে হবে, এসব সংস্কার যেন খুবই মুনশিয়ানা ও দরদি মন নিয়ে করা হয়। এ নিয়ে জনমনে যেন কোনো অসন্তোষ তৈরি না হয় সেদিকটায়ও খেয়াল রাখতে হবে।
লেখক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর
মেসেঞ্জার/হাওলাদার