ছবি : ডেইলি মেসেঞ্জার
১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে। শাসকদল মুসলিম লীগ ছিল সাম্প্রদায়িক। ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পরিবেশও অনেকটা সাম্প্রদায়িক চেহারা পায়। এমনকি বিরোধী রাজনৈতিক ও ছাত্রসংগঠনেও পড়ে সাম্প্রদায়িকতার ছায়া।
কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানের সচেতন তারুণ্য ধর্মভিত্তিক রাজনীতির কৃত্রিম খোলসে মুখ ঢাকা রাখতে বেশিদিন রাজি থাকেনি। তাদের উদ্যোগে পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে প্রথমে ছাত্রলীগ, পরে আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়। পশ্চিম পাকিস্তানেও আওয়ামী লীগের শাখা গঠিত হয়। ফলে গোটা পাকিস্তানেই আওয়ামী লীগ একমাত্র বড় জাতীয় রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত হয়। গাঙ্গেয় ব-দ্বীপ অঞ্চলের একই ভূ-খন্ড নিয়ে গঠিত এই রাষ্ট্র দুটির একটি ‘পূর্ব পাকিস্তান’ অন্যটি ‘বাংলাদেশ’। এ কথা সর্বজনবিদিত যে, পাকিস্তান নামক ঔপনিবেশিক ধরনের কৃত্রিম রাষ্ট্রের নিগড়ে বাঁধা বাঙালি জাতি তার নিজস্ব একটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে থেকে ভাষা-সংগ্রাম, স্বায়ত্তশাসন ও স্বাধিকারের জন্য ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ভেতর দিয়ে একদিকে এই ভূ-খন্ডে পাকিস্তানের কবর রচনা করে, অন্যদিকে বাঙালির নিজস্ব প্রথম জাতি-রাষ্ট্র বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করে। এই সংগ্রাম ও যুদ্ধে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্ব প্রদান করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন জনকল্যাণের ব্রত নিয়ে ঢাকার রোজ গার্ডেনে যে দলটির আত্মপ্রকাশ, দুই যুগেরও কম সময়ের ব্যবধানে, ১৯৭১ সালে সেই দলটির নেতৃত্বেই স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে জন্মকালে যে দলটির নাম ছিল আওয়ামী মুসলিম লীগ, সেই দলটিই আজকের আওয়ামী লীগ। প্রথম কমিটিতে সভাপতি ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। সাধারণ সম্পাদক ছিলেন টাঙ্গাইলের শামসুল হক। যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন সে সময়ের তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে সে সময়ের কথা উল্লেখ আছে।
যখন ঢাকার রোজ গার্ডেনে দলের গোড়াপত্তন হচ্ছে, তরুণ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান তখন কারাগারে।
তরুণ শেখ মুজিব যে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের কথা ভেবেছিলেন, তা কার্যকর হতে খুব বেশিদিন লাগেনি। ১৯৪৯ সালে গঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ পরবর্তীকালে নাম থেকে মুসলিম শব্দটি বাদ দিয়ে দলের নেতৃত্ব দলকে একটি অসাম্প্রদায়িক দলে রূপান্তর করে। তখন এটি ছিল একটি সাহসী সিদ্ধান্ত।
১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দের ৫ই ডিসেম্বর শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক জনসভায় শেখ মুজিব পূর্ব পাকিস্তানকে “বাংলাদেশ” নামে নামকরণের ঘোষণা দেন। ১৯৫২ সালে ভাষা সংগ্রামের পথ বেয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়-আওয়ামী লীগের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গৌরবগাঁথা, বাঙালি জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন। আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক আত্ম প্রকাশ তৎকালীন পূর্ব বাংলা তথা পাকিস্তানের রাজনীতির দৃশ্যপট বদলের ও সূচনালগ্ন হিসেবে চিহ্নিত। আওয়ামী লীগের জন্ম ছিল পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক ধরনের শাসন শোষণ এবং মুসলিম লীগের সাম্প্রদায়িক-স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতির অবসানের অনিবার্যতার ফল।
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় কেবল নয়, একটি আত্মমর্যাদাশীল অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই ছিল আওয়ামী লীগের অঙ্গীকার। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী ও এইচএম কামরুজ্জামান তাদের জীবন দিয়ে এসই অঙ্গীকারের মূল্য পরিশোধ করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির প্রতিশোধ গ্রহণের সেই ষড়যন্ত্র ৭৫’ এর ট্রাজিডি সৃষ্টি করে। তা সত্বেও বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতির পিতার অঙ্গীকার ও স্বপ্ন জয়ের পথে অকুতোভয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের দেশ।
দীর্ঘ পথপরিক্রমায় অনেক চড়াই-উতরাই পার হয়ে আসতে হয়েছে আওয়ামী লীগকে। আদর্শবাদী, উদারনৈতিক এই রাজনৈতিক দলটির অস্তিত্ব বিনাশের চেষ্টাও হয়েছে। দলের ভেতরের কোন্দলও অনেক সময় মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চেয়েছে; কিন্তু আলোর পথযাত্রী আওয়ামী লীগ সব বাধা-বিপত্তি মাড়িয়ে এগিয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের এক বিশেষ কাউন্সিল অধিবেশনে প্রবাসে নির্বাসিত জীবনযাপনকারী শেখ হাসিনাকে সর্বসম্মতভাবে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। সেই বছরের ১৭ মে শেখ হাসিনা দেশের এক ক্রান্তিকালে দেশে ফেরেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মাত্র ৩৪ বছর বয়সে ১৯৮১ সালে সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে একটানা ৪৩ বছর দলটির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯৬ সালে তাঁর নেতৃত্বে ২১ বছর পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পায়। খুব কম দেশেই একটি দল ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে থেকে ক্ষমতায় ফিরতে সক্ষম হয়েছে। ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮, ২০২৩ টানা চারবার জনগণের ম্যান্ডেট পায় আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগে মুজিব যুগই হচ্ছে সবচেয়ে গৌরবোজ্জ্বল যুগ। তিনি অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদ প্রচার করেন। ঘোষণা করেন পূর্ব পাকিস্তান নয়, এই ভূখন্ডের নাম বাংলাদেশ। আমরা হাজার বছর ধরে বাঙালি। আমাদের পরিচয় হবে বাঙালি। বড় ঢেউ তোলে বাংলাদেশে বাঙালি জাতীয়তাবাদ। বাঙালির যে হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য তার মিল দেখা যায় অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও সভ্যতার সঙ্গে। বাংলাদেশে সেই ঐতিহ্য ধারণ করেন শেখ মুজিব এবং সেই জাতীয়তার বাহক হয়ে দাঁড়ায় আওয়ামী লীগ। মুজিব যুগের আওয়ামী লীগ আন্তর্জাতিক সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হয়। আওয়ামী লীগে বড় ধরনের রূপান্তর ঘটে।
বঙ্গবন্ধু অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন। দেশের মানুষের দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন শোষিতের গণতন্ত্র। সেই অসাম্প্রদায়িক উন্নত বাংলাদেশ গড়ার পাশাপাশি দেশের মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনো বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে জাতির পিতার স্নেহধন্য, ত্যাগী ও নিবেদিত প্রাণ, ভাষা সৈনিক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া থানা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ কৃষক লীগের প্রাক্তন সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার কে গভীর শ্রদ্ধায় স্বরণ করছি।
উপমহাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বলা চলে, এই দলটির ইতিহাসই হচ্ছে বাংলাদেশের গত ৭৫ বছরের রাজনৈতিক ও সামাজিক ইতিহাস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকেই বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস যাঁরা পাঠ করবেন, তাঁদের জন্য বাংলাদেশের ইতিহাস পাঠ করা তেমন দরকার হবে না। জনগণের জন্য, জনগণ দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই দলটির প্রতি এখনো জনগণের অবিচল আস্থা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দলটির অসাম্প্রদায়িক অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাক। ৭৫ বছর পূর্ণ করেও আওয়ামী লীগ তার তারুণ্য হারায়নি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, যুগান্তরের লক্ষ্য ও কর্মসূচি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বএই তিনটি রক্ষাকবচের জোরেই আওয়ামী লীগ নতুন প্রাণ পাবে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস অপরাজেয়।
প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধর্মনিরপেক্ষ-অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি, শোষণমুক্ত সাম্যের সমাজ গঠনের আদর্শ এবং একটি উন্নত সমৃদ্ধ আধুনিক, প্রগতিশীল সমাজ ও রাষ্ট্রব্যবস্থা বিনির্মাণের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দর্শনের ভিত্তি রচনা করে আওয়ামী লীগ। যার পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৫৫ সালের কাউন্সিলে অসাম্প্রদায়িক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে সংগঠনটির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’।
আওয়ামী লীগ শুধু এ দেশের প্রাচীন ও সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক সংগঠনই নয়, বাংলাদেশের রাজনীতির মূলধারাও। স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাস একসূত্রে গাঁথা। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ভাষা সংগ্রামের পথ ধরে ৬৬ সালে ৬ দফা, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ বাঙালি জাতির যা কিছু শ্রেষ্ঠ অর্জন, তার মূলে রয়েছে জনগণের এই প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব। জন্মলগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের শক্তির উৎস জনগণ এবং সংগঠনের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
৭৫ বছরের পথপরিক্রমায় দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক দলটিকে অনেক চড়াই-উতরাই পেরোতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অনেকটা অস্তিত্ব সংকটে পড়ে দলটি। আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র করা হয়। দলের ভেতরেও শুরু হয় ভাঙন।
১৯৮১ সালে জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শক্ত হাতে এবং তাঁর সাহসী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সংকট কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয় এবং বারবার ঘুরে দাঁড়ায়।
গণতন্ত্র, ভাষা সংগ্রাম, স্বাধীকার আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়, মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর জাতীয় পূর্নগঠন, বঙ্গবন্ধু-কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসড়কে উত্তরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ তথা উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করা, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলা, নারীর ক্ষমতায়ন, সমুদ্র বিজয়, ল্যান্ড বাউন্ডারি... মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ, খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২১ হাজার মেগাওয়াটের লক্ষ্য অর্জন, নিজস্ব অর্থে পদ্মসেতু নির্মাণ, ঢাকা মেট্রোরেল, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীতে সুড়ঙ্গ পথ নির্মাণ, পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণ, ঈশ্বরদীতে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ, মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ সফলভাবে কোভিড মহামারি মোকাবেলা ও দ্রত সময়ে টিকাদান সম্পন্ন এবং ক্রীড়া ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মান অর্জন প্রভৃতি উল্লেখ করলেও আওয়ামী লীগের অর্জনের কথা শেষ হবে না এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ও আওয়ামী লীগের জয়যাত্রা অব্যাহত থাকুক। আমরা শুধু একটি কথাই বলব, তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সুখে-দুঃখে, বিপদে আপদে সর্বদা দেশবাশীর পাশে আছে এবং থাকবে। অপ্রতিরোধ্য আওয়ামী লীগ কেবল অতীত বর্তমান নয়, বাংলাদেশের ভবিষ্যতের নির্মাতা। আওয়ামীলীগ চিরজীবী হোক।
লেখক -মোহাম্মদ আবু জাফর রাজু , প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-২
মেসেঞ্জার/সজিব