ছবি: মেসেঞ্জার
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, ড. ইউসুনকে টুপ করে পদ্মায় ফেলে দিতে চাওয়া শেখের বেটি হাসিনা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে গিয়ে মোদির ভাত খাচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, পালিয়ে দিয়ে খুনি হাসিনা দেশের হিন্দু ভাইদের ব্যবহার করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমি হিন্দু ভাইদের বলতে চাই। খুনি হাসিনার উসকানিতে কেউ পা-দিবেন না। আপনাদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য বিএনপি আছে, সারাজীবন থাকবে। আমার শরীরে এক বিন্দু রক্ত থাকতে কোন সংখ্যালঘুর ওপরে অত্যাচার হতে দেবো না।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে জামতৈল ধোপাকান্দি সরকারি বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজিত জনসভায় সাবেক মন্ত্রী বলেন, এখন যারা হিন্দু হয়ে মিছিল করছে, এরা কিন্তু আসলেই হিন্দু না, এরা হলো আওয়ামী হিন্দু। যাতে এদেশে একটা ডাওট হয় আর সেই ডাওটের সুযোগ নিয়ে খুনি হাসিনা এদেশে আসতে চায়, সেগুড়ে বালি! তোমার (শেখ হাসিনা) পক্ষে আর বাংলাদেশে আসার সুযোগ নেই।
টুকু বলেন, আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা মানুষ না এরা হায়না। কারণ খুনি হাসিনার অবৈধ সরকারের আমলে কামারখন্দ উপজেলা বিএনপির একটি অনুষ্ঠান শেষে ফেরার পথে জেলা বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদকে বাঁশ দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মেরেছে। শুধু তাই নয়, সেদিন অনেক বিএনপির নেতাকর্মীদের আহত করেছিলো আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
তিনি বলেন, কড্ডা দিয়ে বাড়ীতে যেতে দেওয়া হতো না, দাঁ আর বন্দুক নিয়ে বসে থাকতো তারা। সেসময় পুলিশের ছত্রছায়ায় আমার পথ বন্ধ করতে পেরেছিলো। কিন্তু শহীদের পিচ্ছিল রক্তের রাস্তায় তোমরা আজ কোথায় পালিয়ে আছো। আমরা রাজনীতি করি আমরা পালাই না, বিএনপি কোন দিনও পালায় নাই। যে আওয়ামীলীগ উন্নয়নের নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দেশ থেকে বিদেশে পার করেছে, একমাত্র হাসিনা ও তার পরিবার দেশের ৯০ হাজার কোটি টাকা মেরে নিয়ে পালিয়ে গেছে, তারপর আর দেশে কি থাকে।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি বদিউজ্জামান ফেরদৌসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রেজাতে রাব্বি উথানের সঞ্চালনায় জনসভায় বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খাঁন আলীম, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি রুমানা মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল কায়েস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। জনসভায় জেলা, উপজেলাসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
মেসেঞ্জার/রাসেল/তারেক