ছবি: সংগৃহীত
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশ হয়ে গেলে আর ষড়যন্ত্র করার সাহস কেউ পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করা হয়েছে, তাদের ষড়যন্ত্রকেও এ দেশের ছাত্র-জনতা সবাই মিলে আমরা মোকাবিলা করব। আজ বুধবার সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এর আগে বিকেল ৩টার পর বিএনপি সিনিয়র স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রবেশ করেন। প্রতিনিধি দলে ছিলেন, বিএনপির স্হায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিকাল ৪ টায় বৈঠক শুরু হয়।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক, সামাজিক এবং বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের ইস্যু তৈরির বিষয়ে বাংলাদেশের অস্তিত্ব রক্ষায় আমাদের সহযোগিতা চাওয়ার জন্য প্রধান উপদেষ্টা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্রের জন্য, অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য এবং দেশের শান্তি শৃঙ্খলার জন্য লাখো মানুষের শাহাদাতের বিনিময়ে এই ডিসেম্বরে স্বাধীনতা পেয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের দায়িত্ব এই দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। আমাদের দেশের বিরুদ্ধে পতিত সরকার বিদেশ থেকে যে ষড়যন্ত্র করছে সেই ফ্যাসিস্ট, পতিত সরকারের বিরুদ্ধে সবাই ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন।
বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য অপচেষ্টা করা হচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমরা সরকারের সঙ্গে ঐক্যমত্য পোষণ করেছি যে, জনগণ যেভাবে জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করেছি, একইভাবে ফ্যাসিস্ট ও তাদের সহযোগীদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করব।
নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, জনগণের অধিকারকে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য এই সরকার ওয়াদাবদ্ধ। তাই আমরা বলেছি- অতি দ্রুত সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের জন্য একটা রোডম্যাপ দেয়ার। জনগণ রোডম্যাপ পেয়ে নির্বাচনমুখী হয়ে গেলে যেসব ষড়যন্ত্র এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সেসব ষড়যন্ত্র আর কেউ করার সাহস পাবে না।
মেসেঞ্জার/জেআরটি