ছবি: সংগৃহীত
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে থাকা চট্টগ্রাম-১৫ আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে আটক করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে আটক করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন ডিএমপির উপ-কমিশনার (মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
গত ৯ অক্টোবর চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও তার ভাতিজা মাদার্শা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম সেলিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ৪৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা মো. মোস্তাফিজুর রহমান মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর কেরানীহাট-বান্দরবান সড়কের সাতকানিয়ার দস্তিদার হাটে সরকারের পতন ও ঘোষিত নির্বাচনী তফসিল বাতিলের দাবিতে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল করছিলেন। এ সময় সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, তার ভাতিজা সেলিম চৌধুরী, বাজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান তাপস কান্তি দত্ত, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবু ছালেহসহ কয়েকজনের নির্দেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, বাঁশ ও রড নিয়ে হামলা চালান। মিছিলে অংশ নেওয়া সাতকানিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। হামলায় মামলার বাদীসহ বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
এছাড়াও ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়েছে।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক ছিলেন। ক্ষমতার লোভে পড়ে ২০১৪ সালের দশম ও ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে হেরে যান।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী আল্লামা ফজলুল্লাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান। তিনি ক্ষমতার ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম (আইআইইউসি) দখল করে নেন।
আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী স্বামীর পরিচয় ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী বনে যান। আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর প্রয়াত শ্বশুর মমিনুল হক চৌধুরী জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন।
মেসেঞ্জার/সাখাওয়াত/এসকে/ইএইচএম