ঢাকা,  মঙ্গলবার
০২ জুলাই ২০২৪

The Daily Messenger

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে

ভারতের দুশ্চিন্তা বাড়াল আইসিসি

মেসেঞ্জার স্পোর্টস

প্রকাশিত: ১০:৪৩, ২৯ জুন ২০২৪

ভারতের দুশ্চিন্তা বাড়াল আইসিসি

ছবি : সংগৃহীত

ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা দুটি দলই অপরাজিত হয়ে উঠেছে ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে শনিবার (২৯জুন) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শিরোপার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দল দুটি। ফাইনাল ম্যাচের আগে ভারতের দুশ্চিন্তা যেন এক রকম বাড়িয়েই দিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি)। 

ফাইনালের জন্য ম্যাচ পরিচালকদের নাম আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে। ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ফাইনালের ম্যাচ রেফারি রিচি রিচার্ডসন। ক্রিস্টোফার গাফানি ও রিচার্ড ইলিংওয়ার্থ থাকছেন মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে। টিভি আম্পায়ার ও চতুর্থ আম্পায়ার রিচার্ড কেটেলবোরো ও রড টাকার। যার মধ্যে কেটেলবোরোকে ভারতীয় সমর্থকেরা যে ‘অপয়া’ মনে করেন। কারণ গত ১১ বছরে ভারতের ম্যাচে কেটেলবোরো থাকা মানেই আইসিসি ইভেন্টে দলটির একের পর এক হতাশার গল্প। 

২০১৩ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জেতে ভারত। ভারতীয় ক্রিকেট দলের ইতিহাসে এটাই সবশেষ কোনো আইসিসি শিরোপা জয়। পরবর্তী ১১ বছরে ভারত ৯ বার আইসিসি ইভেন্টের নকআউট রাউন্ডে হোঁচট খেয়েছে, যার ৮ টিতেই আম্পায়ারিং প্যানেলে ছিলেন কেটেলবোরো। ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ভারত হয়েছিল রানার্সআপ। এরপর ২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের কাছে। আর ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিতে ভারতের পথচলা থামিয়ে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে ১৮০ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গত বছর ভারতকে কাঁদিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপ জেতে অস্ট্রেলিয়া। সাদা বলের ক্রিকেটে ভারতের এই ৬টি নকআউট পর্বের ম্যাচে মাঠের আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন কেটেলবোরো। 

২০২১ ও ২০২৩ সালে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে কাঁদিয়েছিল নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। দুই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে টিভি আম্পায়ার ছিলেন কেটেলবোরো। একমাত্র গত বছর অ্যাডিলেডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে ছিলেন না তিনি। তিনি না থাকলেও ভারতকে ১০ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছিল ইংলিশরা। সেই ইংলিশদের গত পরশু গায়ানায় ৬৮ রানে হারিয়ে নিয়েছে মধুর প্রতিশোধ। 

১৯৯২ সাল থেকে শুরু করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ মিলে প্রথম সাতবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে থমকে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার পথচলা। কখনো বৃষ্টির বাধা, কখনোবা হিসেব মেলাতে না পারায় ধরা খেত প্রোটিয়ারা। এইডেন মার্করামের নেতৃত্বাধীন দক্ষিণ আফ্রিকা এবার খুলল ফাইনালের গেরো। ত্রিনিদাদে পরশু আফগানিস্তানকে বিধ্বস্ত করে অষ্টমবারে সেমিফাইনালের জুজু কাটিয়েছে প্রোটিয়ারা। ৯ ম্যাচের ৯ টিতে জিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে এখন প্রথমবার কোনো বিশ্বকাপ জয় হাতছানি দিচ্ছে। তাদের একমাত্র আইসিসি শিরোপা ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়।

মেসেঞ্জার/আজিজ