![জর্জিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন জর্জিয়াকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন](https://www.dailymessenger.net/media/imgAll/2024February/3-2407010315.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
প্রথমবারের মতো ইউরোতে এসে ইতিহাস গড়েছিল জর্জিয়া। পর্তুগালকে হারিয়ে নকআউট পর্বে কোয়ালিফাই করা দলটি অবশ্য উজ্জীবিত হয়ে এসেছিল স্পেনের বিপক্ষে খেলতে। শুরুটা ভালো করলেও শেষদিকে গিয়ে তারা আর পারেনি। ফলে হেরে আসর থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের।
উয়েফা ইউরোর শেষ ষোলোয় আজ জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে স্পেন। শুরুতেই নরমান্দের আত্মঘাতী গোলে জর্জিয়া এগিয়ে গেলেও স্পেনকে সমতায় ফেরান রদ্রি। দ্বিতীয়ার্ধে ফাবিয়ান রুইস দলকে এগিয়ে নেওয়ার পর গোল পান নিকো উইলিয়ামস ও দানি ওলমো।
দশ পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামা স্পেন শুরু থেকে থাকে আক্রমণাত্মক। চতুর্থ মিনিটে সুযোগও পায় তারা। তবে ইয়ামাল থেকে আসা বল কারভাহালের দেওয়া পাস ঠিকঠাক কাজে লাগাতে পারেননি পেদ্রি। ১৮তম মিনিটে নিজেরে প্রথম আক্রমণেই এগিয়ে যায় জর্জিয়া। বক্সে সতীর্থ পাস দেন খাভিচা কাভারাৎসখেলিয়ার উদ্দেশে। কিন্তু তার আগেই রবিন লা নরমান্দ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই পাঠান বল।
গোল হজম করে সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে স্পেন। তবে তৎক্ষণাৎ গোল না পেলেও তারা সফল হয়েছে ৩৯তম মিনিটে। বক্স থেকে দেওয়া নিকো উইলিয়ামসের পাস ২০ গজ বাইরে থেকে বুলেট গতির শটে লক্ষ্যভেদ করেন রদ্রি। সমতায় থেকেই বিরতিতে যায় তারা।
বিরতির পর স্পেন যেন হয়ে ওঠে আরও শক্তিশালী। একের পর এক আক্রমণে তারা পরীক্ষা নেয় জর্জিয়ার রক্ষণভাগের। ৫১তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন ফাবিয়ান রুইস। ইয়ামালের বাড়ানো ক্রস বক্স থেকে জালে পাঠান তিনি। এগিয়ে গিয়েও থামেনি তারা। ৭৪তম মিনিটে আবার বল পাঠায় জর্জিয়ার জালে। যদিও অফসাইডের কারণে তা বাতিল হয়।
তবে ঠিক এক মিনিট পর নিকো উইলিয়ামস দলের ব্যবধান আরও বাড়ান। প্রতিআক্রমণ থেকে রুইসের দেওয়া লম্বা পাস মাঝমাঠ থেকে টেনে নিয়ে যান উইলিয়ামস। গোলরক্ষককে পরাস্ত করে বুলেট গতির শটে জাল কাপান এই ফরোয়ার্ড।
৮৩তম মিনিটে আরও একটি গোল পায় স্পেন। রদ্রি থেকে আসা বল ওয়ারজাবাল বাড়ান দানি ওলমোর উদ্দেশে। বল পেয়ে বক্স থেকে বাঁ পায়ের বাকানো শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। সঙ্গে ভেস্তে যায় জর্জিয়ার স্বপ্ন। শেষ ষোলোতেই বিদায় নিতে হল তাদের।
মেসেঞ্জার/আজিজ