ছবি : সংগৃহীত
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে মুখোমুখি বাংলাদেশ। যদিও ভেজা আউটফিল্ড খেলার উপযোগী করতে পেরিয়েছে ৫ ঘণ্টারও বেশি সময়। টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগাররা যথারীতি বিপর্যয় দিয়ে শুরু করেছে। ১০ রানেই হারিয়েছে ২ উইকেট। এই ম্যাচ দিয়ে একাদশে ফেরা সাদমান ইসলাম দু’বার জীবন পেয়ে ফিফটি তুলে নিয়েছেন। দিনশেষে সফরকারীরা ২ উইকেটে ৬৯ রান করেছে।
জ্যামাইকার কিংস্টন সাবিনা পার্ক স্টেডিয়ামে শনিবার (৩০ নভেম্বর) দুই পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। ওপেনিংয়ে ব্যর্থ জাকির হাসানের জায়গায় সাদমান ইসলাম এবং পেসার শরিফুল ইসলামের পরিবর্তে নাহিদ রানা একাদশে ফিরেছেন। এদিন বৃষ্টি না হলেও আগের টানা বর্ষণে ভেজা আউটফিল্ড দুই দলকে অপেক্ষায় রাখে দীর্ঘ সময়। ফলে ৩০ ওভারের এক সেশনেই কেবল মাঠে গড়িয়েছে।
আগে ব্যাট করতে নেমে যথারীতি নিজের উইকেট দিয়ে শুরুটা করেছেন বাংলাদেশ ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়। কেমার রোচের করা পঞ্চম ওভারের শেষ বলটি ছিল অফ স্টাম্পের কিছুটা বাইরে। এমন বলে বাংলাদেশের মুখস্থ উইকেট দেওয়ার একটি রীতি দীর্ঘকাল ধরেই দেখা যায়।
জয়ও সেই রীতি মেনে সুইং করে আরও বাইরে যেতে থাকা বলে ব্যাটের কানা ছুঁয়ে দেন, লাফিয়ে সেটি তালুবন্দী করেন উইন্ডিজ উইকেটরক্ষক জশুয়া ডি সিলভা। আগের ম্যাচের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৫-৬ রান করা জয় এবার করলেন মোটে ৩।
৮ রানে প্রথম উইকেট হারানো বাংলাদেশ আর ২ রান যোগ করতেই হারায় ওয়ানডাউনে নামা মুমিনুল হককেও। সবসময়ই কেমার রোচকে রীতিমতো আতঙ্ক মানা বাংলাদেশের এই উইকেটও তারই দখলে। ফুল লেংথে ফেলা বলটি মুমিনুলের ডিফেন্ড করতে চাওয়া ব্যাট ছুঁয়ে কিপারের গ্লাভসে। টাইগারদের অভিজ্ঞ ব্যাটার ৬ বলে রানের খাতা খোলার আগেই ফিরলেন।
বাংলাদেশ দিনের পরবর্তী ২৩ ওভারে আর কোনো উইকেট না হারালেও তাতে কৃতিত্ব ছিল উইন্ডিজদের। কারণ ব্যক্তিগত ফিফটি হাঁকানো সাদমানের দুটি এবং আরেক অপরাজিত ব্যাটার শাহাদাত হোসেন দীপুর একটি ক্যাচ ছেড়েছেন ফিল্ডাররা। ১৫ ও ৩৫ রানে থাকাবস্থায় সাদমান এবং ৮ রানে দীপু দ্বিতীয় জীবন পান। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন টাইগার ওপেনার। অবশ্য টেস্টে পঞ্চম ফিফটির তিনটিই তিনি উইন্ডিজদের বিপক্ষে করেছেন।
১০০ বলে ৩টি চার এক ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত আছেন সাদমান। আরেক অপরাজিত ব্যাটার দীপু করেছেন ১২ রান। উইন্ডিজদের দুটি উইকেটই পেয়েছেন রোচ।
মেসেঞ্জার/তারেক