ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
০২ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

৭৩৩ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরোল বাবরের

মেসেঞ্জার স্পোর্টস

প্রকাশিত: ১৫:৫৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

৭৩৩ দিনের দীর্ঘ অপেক্ষা ফুরোল বাবরের

ছবি : সংগৃহীত

সময়টা ভালো যাচ্ছিল না অনেকদিন ধরে। টেস্ট ফরম্যাটে সেই দুঃসময়টা আরও লম্বা। মাঝে লাল বলের স্কোয়াড থেকেও বাদ পড়েন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। এরপর ফিরেও ন্যূনতম একটি হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপ মেটাতে পারছিলেন না। ২০২২ সালের (২৬ ডিসেম্বর) সর্বশেষ টেস্টে ফিফটি করেছিলেন বাবর। আরেকটি ফিফটির জন্য তাকে ৭৩৩ দিন অপেক্ষা করতে হয়েছে।

সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে খেলছে পাকিস্তান। যেখানে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪ রানেই আউট হয়ে যান বাবর। দ্বিতীয় ইনিংসে তুলে নিয়েছেন দীর্ঘ অপেক্ষার ফিফটি। তবে এরপর আর টিকতে পারেননি। প্রোটিয়া পেসার মার্কো জানসেনের আরেকটি দুর্দান্ত স্পেলের দিনে বাবর ফিরেন বরাবর ৫০ রানে। ৮৫ বলের ইনিংসে তিনি ৯টি চার মেরেছেন।

এর আগে বাবর ফিফটিখরায় ভুগছিলেন ১৯ ইনিংস। এ সময়ে এই পাকিস্তানি তারকা ব্যাটার ৩০–এর ঘরেও পৌঁছাতে পারেন মাত্র ৪ বার, সর্বোচ্চ ইনিংস খেলেন ৪১ রানের। এমনকি টেস্টে তার সর্বশেষ সেঞ্চুরিটিও ১৯ ইনিংস আগে। ২০২২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করাচিতে ২৮০ বলে ১৬১ রানের স্মরণীয় এক ইনিংস খেলেছিলেন বাবর। এরপর ৭৩৩ দিন রানখরায় থাকাকালে তার ইনিংসগুলো ছিল এমন— ১৪, ২৪, ২৭, ১৩, ২৪, ৩৯, ২১, ১৪, ১, ৪১, ২৬, ২৩, ০, ২২, ৩১, ১১, ৩০, ৫ ও ৪। 

ব্যাট হাতে ব্যর্থতার দরুন চলতি বছরের অক্টোবরে ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝপথেই স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েন বাবর। ঘরের মাঠে হওয়া ওই সিরিজে পাকিস্তানও শেষ দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে। বাবরের পরিবর্তে দলে ঢুকে সেঞ্চুরি করেছিলেন তরুণ ব্যাটার কামরান গুলাম। ইতোমধ্যে টেস্ট দলেও তার জায়গাটা মোটামুটি পাকাপোক্ত হয়ে গেছে। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চলতি ম্যাচেও প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানের একমাত্র ফিফটির ইনিংস আসে কামরানের ব্যাটে।

এদিকে, বাবর রান পেলেও দলগতভাবে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে পাকিস্তান। শান মাসুদের দল প্রথম ইনিংসে মাত্র ২১১ রানেই অলআউট হয়ে যায়। দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০১ রান করে প্রথম ইনিংসে লিড পায় ৯০ রানের। পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে সেই রান পেরোনোর আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। এরপর বাবর ৫০ ও সৌদ শাকিল ৮৪ রান করলে দুইশ পার হয় সফরকারীদের। তবে তাদের পুঁজি বেশি বড় হয়নি। আর কোনো ব্যাটারই বলার মতো কিছু করতে না পারায় ২৩৭ রানেই থামে পাকিস্তানের ইনিংস।

জয় পেতে প্রোটিয়াদের প্রয়োজন মাত্র ১৪৮ রান। যদিও তৃতীয় দিন শেষ হওয়ার আগে স্বাগতিক টেম্বা বাভুমার দলের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৭ রান। পাকিস্তানের পক্ষে মোহাম্মদ ২ এবং খুররাম শেহজাদ একটি উইকেট নিয়েছেন। এর আগে পাকিস্তানকে অল্পতে গুটিয়ে দেওয়ার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল প্রোটিয়া অলরাউন্ডার মার্কো জানসেনের। এই পেসার একাই নিয়েছেন ৬ উইকেট। 

মেসেঞ্জার/তারেক