ছবি: সংগৃহীত
দেখতে দেখতে আরও একটা বিশ্বকাপ চলে আসছে। আর দেড় বছরের দূরে আছে ২০২৬ বিশ্বকাপ। সে বিষয়টা খেলোয়াড়দের মগজেও অ্যালার্ম বেল বাজানো শুরু করেছে ইতোমধ্যে। মুখ খুললেই বেরিয়ে আসছে বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবনা। নেইমারও ব্যতিক্রম নন, জানালেন ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে সবকিছু করতে রাজি আছেন তিনি।
নেইমার ব্রাজিলের হয়ে সবশেষ মাঠে নেমেছেন সেই ২০২৩ সালে। উরুগুয়ের বিপক্ষে ওই ম্যাচে পাওয়া চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন এক বছর। এরপর আরও এক চোটে এখনো তিনি মাঠের বাইরে। তবে ব্রাজিল কোচ দরিভাল জুনিয়র ইঙ্গিত দিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে নেইমারকে ডাকা হবে আসছে মার্চের উইন্ডোতে।
নেইমার নিজেও জানালেন, ব্রাজিলের জার্সি আবার গায়ে চড়াতে হলে যে কোনো কিছু করতে রাজি তিনি। নেইমারের কথা, ‘আমি চেষ্টা করব। আমি সেখানে খেলতে চাই। জাতীয় দলের অংশ হতে যা যা করা দরকার, তার সবই আমি করব।’
বিশ্বকাপের আর খুব বেশি সময় নেই। আগামী বছরের জুন-জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো ও কানাডায় বসবে ফুটবলের বিশ্বআসর।
ব্রাজিলের হয়ে এক কনফেডারেশন্স কাপ আর একটা অলিম্পিক সোনা বাদে কিছুই জিততে পারেননি। একটা আফসোস নিশ্চয়ই পুষে রেখেছেন মনের কোণে! আর বিশ্বকাপ? তা নিয়ে তো আফসোসের শেষই নেই। সেই ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জেতার পর থেকে আর যে জেতা হয়নি সোনার হরিণটা! নেইমারদের প্রজন্মও খেলে ফেলল ৩টা বিশ্বকাপ, এরপরও হয়নি।
নেইমার তাই ২০২৬ বিশ্বকাপকে দেখছেন নিজের শেষ সুযোগ হিসেবে। তার জন্যও সামর্থ্যের শেষ বিন্দু দিয়ে লড়বেন, জানান নেইমার। তিনি বলেন, ‘আমি জানি এটা আমার শেষ বিশ্বকাপ হবে, আমার শেষ সুযোগও। আমি এখানে খেলার জন্য সবকিছু করতে রাজি আছি।’
নেইমারহীন ব্রাজিল বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ধুঁকছে রীতিমতো। ৬ রাউন্ড বাকি আছে আর। শীর্ষ ছয় দল যাবে বিশ্বকাপে। ব্রাজিল এখন দাঁড়িয়ে আছে তালিকার পঞ্চম স্থানে। শেষ দিকে নেইমারকে পেলে নিশ্চয়ই পরিস্থিতিটা আরও সহজই হবে ব্রাজিলের।
মেসেঞ্জার/জেআরটি