ছবি : সংগৃহীত
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দুটি দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। তবে এই চক্রের সর্বশেষ সিরিজ এখনও বাকি। ফাইনালিস্ট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার দুই টেস্টের এই সিরিজ অনেক আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল। তবে বিবেচনায় রয়েছে আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নবম আসরও। টুর্নামেন্টটির জন্য প্রস্তুতির লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলঙ্কা তাৎক্ষণিকভাবেই ওয়ানডে সিরিজ খেলার ঘোষণা দিয়েছে।
(১৯ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানের করাচিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠবে। যেখানে শ্রীলঙ্কার জায়গা না হলেও, ‘বি’ গ্রুপে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপে তাদের অপর তিন সঙ্গী দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। টুর্নামেন্টটি শুরুর আগমুহূর্তে প্যাট কামিন্সের দল ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি লঙ্কানদের বিপক্ষে দুটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে। দুটি ম্যাচই হবে কলম্বোর এম প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে।
তবে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে গিয়ে বেশ ব্যস্ত সূচির মুখেই পড়তে হবে অজিদের। দ্বিতীয় টেস্ট (পঞ্চম দিন) শেষ হওয়ার দু’দিন পরই তাদের ওয়ানডে খেলতে নামতে হবে। আবার নতুন সমস্যা– অস্ট্রেলিয়ার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে থাকা ক্রিকেটারদের পাওয়া নিয়ে।
টুর্নামেন্টটির জন্য তাদের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা অধিনায়ক কামিন্স, জশ হ্যাজলউডসহ ৯ জন লঙ্কান সফরে যাবে না। নতুন করে ওয়ানডে সূচি দেওয়ায় তাদের অনেককেই অল্প সময়ের মধ্যে বেশ ভ্রমণ করতে হবে বিমানে।
শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট সিরিজের ম্যাচ দুটি হবে (২৯ জানুয়ারি) ও (৬ ফেব্রুয়ারি)। শেষ টেস্ট চলাকালেই ওয়ানডে স্কোয়াডের বাকি ক্রিকেটারদের লঙ্কান ভূমিতে পা রাখতে হবে। তবে এই সিরিজে যে কামিন্স থাকছেন না এটা মোটামুটি নিশ্চিত। অ্যাঙ্কলের চোটের কারণে তাকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতে পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় রয়েছে অজিরা। আইসিসির এই মেগা আসরে ২২ ফেব্রুয়ারি নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হবে।
এ ছাড়া (২৫ ফেব্রুয়ারি) দক্ষিণ আফ্রিকা এবং (২৯ ফেব্রুয়ারি) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গ্রুপপর্ব শেষ করবে অস্ট্রেলিয়া। টুর্নামেন্টে ভারতের ম্যাচগুলো হবে দুবাইয়ে। সে কারণে প্রথম সেমিফাইনালও (৪ মার্চ) রাখা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। (৫ মার্চ) দ্বিতীয় সেমিফাইনাল হবে লাহোরে। পরবর্তীতে ফাইনাল কোথায় হবে সেটিও নির্ভর করছে ভারতের কোয়ালিফাই করার ওপর। ৯ মার্চ দুবাই অথবা লাহোরে হবে শিরোপানির্ধারণী ম্যাচটি।
মেসেঞ্জার/তারেক