ছবি : সংগৃহীত
পরিচিতি পেয়েছিলেন ‘দ্য কিং’ নামে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্টেডিয়ামের সামনে যে তিনজনের স্ট্যাচু দাঁড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী হয়ে, ডেনিস ল তাদেরই একজন। একপাশে জর্জ বেস্ট, অন্যপাশে স্যার ববি চার্লটনকে রেখে গড়ে তুলেছিলেন দ্য ইউনাইটেড ট্রিনিটি। অনেকে ভালবেসে যাকে ডেকে থাকেন ফুটবলের হলি ট্রিনিটি।
সেই তিন কিংবদন্তির দুজন বেস্ট আর চার্লটন প্রয়াত হয়েছেন আগেই। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে প্রিয় দুই বন্ধুর সঙ্গী হলেন ৮৪ বছরের ডেনিস ল। স্কটল্যান্ড ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার পাড়ি জমালেন পরপারে। এডিনবরায় পরিবারের সদস্যদের পাশে নিয়েই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ল।
ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি সবচেয়ে বেশি সময় পার করেছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ক্লাবটির হয়ে ৪০৪ ম্যাচে তিনি গোল করেছেন মোট ২৩৭টি। ১৯৬২ সালে তখনকার রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে তিনি নাম লিখিয়েছিলেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ওয়েইন রুনি আর স্যার ববি চার্লটনের পর ইউনাইটেডের লালে সবচেয়ে বেশি গোল তারই।
খেলা শুরু করেছিলেন হাডার্সফিল্ড টাউনের হয়ে। ১৯৫৬ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত তিনি ক্লাবটিতে খেলেছেন। এরপর ব্রিটিশ ট্রান্সফারের রেকর্ড গড়ে পাড়ি জমান ম্যানচেস্টার সিটিতে। সিটির জার্সিতে ৪৪ ম্যাচে ২১টি গোল করেন ডেনিস ল। তারপর ১৯৬১-৬২ মৌসুমে তিনি যোগ দেন তোরিনোতে। ইতালিয়ান ক্লাবে যাওয়ার পথেও গড়েছিলেন ট্রান্সফার রেকর্ড।
কিন্তু ইতালিয়ান ফুটবলে সেভাবে মানিয়ে নিতে পারেননি। সে বছরই আরেকটি রেকর্ড ট্রান্সফার ফি’তে তিনি যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইডেটে। আর ক্লাব ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বেশি সময়টা তিনি পার করেন সেখানেই। জর্জ বেস্ট আর ববি চার্লটনের সঙ্গে যোগ হয়ে গড়ে তোলেন এক দুর্ধর্ষ ত্রিফলা আক্রমণভাগ। সফল ত্রয়ী আক্রমণভাগের সবচেয়ে আদি রূপ দেখিয়েছিলেন তারাই।
ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি মোট ম্যাচ খেলেন ৪৮৫টি, গোল করেন ২২৭টি। আর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে স্কটল্যান্ডের হয়ে ৫৫ ম্যাচে গোল করেছেন ৩০টি। ১৯৫৮ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত তিনি জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন। একমাত্র স্কটিশ খেলোয়াড় হিসেবে ব্যালন ডি’অর জিতেছেন এই ল। ১৯৬৪ সালে নিজের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জয় করেন ব্যালন ডি’ অর।
ইউনাইটেড ট্রিনিটির মাঝে সবার আগে প্রয়াত হয়েছিলেন জর্জ বেস্ট। নর্দান আয়ারল্যান্ডের এই তারকা ২০০৫ সালে মাত্র ৫৯ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমান। ২০২৩ সালের অক্টোবরে মারা যান স্যার ববি চার্লটন। আর ২০২৫ সালে বিদায় নিলেন ডেনিস ল।
মেসেঞ্জার/তারেক