ছবি : সংগৃহীত
দলবদলের (ট্রান্সফার উইন্ডো) বাজারে বিশ্বরেকর্ড গড়লেন যুক্তরাষ্ট্র নারী ফুটবলের তারকা ডিফেন্ডার নাওমি গিরমা। ক্যালিফোর্নিয়ান ক্লাব সান-দিয়েগো ওয়েভ থেকে তিনি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চেলসিতে যোগ দিচ্ছেন। নারী ফুটবলের ট্রান্সফারে আর্থিক দিক থেকে রীতিমতো ঝড় তুলেছেন তিনি। তাকে পেতে চেলসি খরচ করছে ১.১ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৩ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
এর আগে কখনোই নারী ফুটবলে এক মিলিয়ন ডলার মূল্যে দলবদলের নজির দেখা যায়নি। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’। ইতোমধ্যে গিরমার সঙ্গে চেলসি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তিতে সম্মত হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। শিগগিরিই লন্ডনে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় দেবেন এই মার্কিনি ফুটবলার। বর্তমানে নারী সুপার লিগের পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে রয়েছে চেলসি।
নারী ফুটবলে এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দামে দলবদলের রেকর্ডটি ছিল জাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড রাচেল কুন্দানাঞ্জির দখলে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাদ্রিদ সিএফএফ থেকে তাকে ৮ লাখ ৬০ হাজার পাউন্ডে দলে ভেড়ায় আমেরিকান ক্লাব বে এফসি। সেই রেকর্ড এবার ছাড়িয়ে গেলেন মার্কিন ডিফেন্ডার গিরমা। পাউন্ডের হিসাবে চেলসিতে যোগ দিতে যাওয়া এই তারকার বাজারমূল্য ৮ লাখ ৯০ হাজার পাউন্ড।
২৪ বছর বয়সী ডিফেন্ডার গিরমার এত দাম ওঠার পেছনে অবশ্য কারণ আছে। তাকে দলে পেতে বাজারে নেমেছিল ফরাসি ক্লাব লিওঁ। তারাও গিরমার দাম হাঁকিয়েছিল ১ মিলিয়ন ডলার। তবে সেই অঙ্ক ছাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত এই তারকাকে জিতে নিয়েছে চেলসি। যেখানে গিরমা তার মার্কিনি সতীর্থ ক্যাটারিনা মাকারিও এবং মিয়া ফিশেলের সঙ্গ পাবেন।
২০২২ সাল থেকে সানদিয়েগো ওয়েভের হয়ে খেলে আসছেন গিরমা, যাদের সঙ্গে তার চুক্তি ছিল ২০২৬ সাল পর্যন্ত। আন্তর্জাতিক ফুটবলে যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে ৪৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি, ডিফেন্ডার হলেও করেছেন ২টি গোলও। রক্ষণে নির্ভরতার এই নাম ২০২৩ সালে আমেরিকান নারী সকারে বর্ষসেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছেন। ২০২৪ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নারী দলের ইংলিশ কোচ এমা হায়েস বলেছিলেন, নিজের কোচিং ক্যারিয়ারে দেখা সবচেয়ে সেরা ডিফেন্ডার গিরমা।
সর্বশেষ প্যারিস অলিম্পিকে যুক্তরাষ্ট্র নারী দলের স্বর্ণপদক জয়ের পেছনেও দারুণ অবদান ছিল গিরমার। সর্বশেষ আসর নিয়ে মোট পাঁচবার মার্কিন মেয়েরা অলিম্পিক ফুটবলের সর্বোচ্চ ওই মর্যাদা পেয়েছে।
মেসেঞ্জার/তারেক