ছবি : সংগৃহীত
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুর পর্বেই বাদ যাবে রিয়াল মাদ্রিদ। এমন একটা কিছু মেনে নেয়াও যেন বেশ কষ্টের। অথচ, চলতি বছরের নতুন ধরণের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শুরুটা রিয়াল মাদ্রিদের জন্য এতই নড়বড়ে, এমন কিছু ভাবনাই উঁকি দিচ্ছিল ম্যাচের আগে। প্রতিপক্ষ সালজবুর্গ যদিও বড় কোনো হুমকি ছিল না রিয়ালের জন্য। তবে ধারাবাহিকতার অভাবে ভুগতে থাকা রিয়ালকে নিয়ে খানিক দুশ্চিন্তা থেকেই গিয়েছিল।
কিন্তু সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল আবার যেন নিজেদের জাত চেনালো। প্রথমার্ধের ২৩ মিনিট পর্যন্ত নিষ্প্রভ হয়ে থাকা লস ব্লাঙ্কোসরা ম্যাচের শেষ পর্যন্ত একে একে সালজবুর্গের জালে বল ঠেলেছে ৫ বার। তাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশাও খানিকটা বাঁচিয়ে রেখেছে তারা। ৫-১ গোলের এই জয় দলটাকে গোল ব্যবধানের দিক থেকেও নিশ্চিতভাবে স্বস্তি দেবে।
ম্যাচের শুরুটা একান্তই সালজবুর্গের। প্রথম ২০ মিনিটে রিয়ালের গোলে ৩ শট নেয় তারা। তখন পর্যন্ত মনে হচ্ছিল, রিয়ালের জন্য হয়ত আরেকটা কঠিন ম্যাচই অপেক্ষা করছে। তবে সেই ধারণা ভুল প্রমাণ হতে সময় লাগেনি মোটে। ২৩ তম মিনিটে ম্যাচে নিজেদের প্রথম শটেই এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আর তাতে পা লাগিয়েছেন রিয়ালের চার সুপারস্টারের সবাই।
কিলিয়ান এমবাপের পাস থেকে ডি-বক্সে ডান দিকে লম্বা ক্রস বাড়ান ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তাতে বেলিংহ্যাম পা লাগিয়েছেন বটে, তবে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি। আর সেই বলটাকেই রদ্রিগো দারুণ কোনাকুনি শটে পাঠিয়েছেন জালের ঠিকানায়। তাদেরই সুবাদে ৩৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। বেলিংহ্যামের একটা দুর্দান্ত ব্যাকহিল আর ফিরতি পাস পেয়ে দূরের পোস্টে রদ্রিগোর চোখে লেগে থাকার মতো গোল।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতেই বড় ভুল করেছেন সালজবুর্গ গোলরক্ষক ইয়ানিস। নিজেদের গেম বিল্ডআপে পাস মিস করেন। তাতে ছুটে এসে গোল করেন এমবাপে। ৫৫তম মিনিটে স্কোরলাইনে নাম লেখান ভিনিসিয়ুস। লুকা মদ্রিচের পাস ধরে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে দুজনের বাধা এড়িয়ে গোলটি করেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। ৭৮ মিনিটে ফেদেরিকো ভালভের্দের পাস ধরে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ভিনিসিউস।
নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে, ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে নিজেদের একমাত্র গোলটি করেন সালজবুর্গের মাডস। সরাসরি শেষ ষোলোয় জায়গা পাওয়ার আশা আগেই ফিকে হয়ে গেছে রিয়ালের। শেষ রাউন্ড পর্যন্ত সামান্য সম্ভাবনাটুকুও বাঁচিয়ে রাখতে এখানে কেবল জিতলেই হতো না তাদের, ব্যবধানটাও করতে হতো বড়। সেই লক্ষ্য ভালোভাবেই পূরণ করল ১৫ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নরা।
দারুণ এই জয়ে সাত ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে এক লাফে ছয় ধাপ এগিয়ে ১৬তম স্থানে উঠেছে রিয়াল। সমান ১২ পয়েন্ট নিয়ে তাদের ওপরে জার্মানির দুই ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ ও বরুশিয়া ডর্টমুন্ড।
মেসেঞ্জার/তারেক