ছবি: সংগৃহীত
মাহেলা জয়াবর্ধনের পর মাত্র ২য় ক্রিকেটার হিসেবে ৯ হাজার ৯৯৯ রান থাকা অবস্থায় আউট হয়েছিলেন। সিডনি টেস্টের ২য় ইনিংসে যখন আউট হয়েছেন তখন পর্যন্ত ছিল বড় রকমের হতাশা। নিজের মাঠেই ১০ হাজার রানের কীর্তি স্পর্শ করা হয়নি স্মিথের। সেই আক্ষেপ মিটেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টে নিজের প্রথম বলেই।
প্রথম বলটাকে মিড অনের দিকে ঠেলেই একটি রান পেয়ে গেলেন। শান্ত স্বভাবের স্মিথের ওই রান নেয়ার ধরণই বলে দিয়েছিল, এই রানের জন্য মরিয়া ছিলেন অজি অধিনায়ক। আর সেই এক রানের সুবাদেই ৯৯৯৯ থেকে ১০০০০ হাজার হয়ে গেল স্মিথের রান।
অস্ট্রেলিয়ার চতুর্থ ও বিশ্বের ১৫তম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে ১০ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁলেন এই সিরিজে অজি অধিনায়ক। আর এই একটা রানই রেকর্ডের পাতায় অন্তত চার জায়গায় তুলেছে স্মিথের নামটাকে।
কাকতালীয়ভাবে এর আগে যে তিনজন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটার ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন, তারা সবাই মাইলফলক পূরণের দিনে ছিলেন অধিনায়ক। অ্যালান বোর্ডার, স্টিভ ওয়াহ এবং রিকি পন্টিংয় প্রত্যেকেই মাইলফলক স্পর্শের দিনে ছিলেন অধিনায়কের দায়িত্বে। স্মিথ অস্ট্রেলিয়ার নিয়মিত অধিনায়ক না। তবে প্যাট কামিন্স ছুটিতে থাকায় তাকে এখন এই পদে আসতে হচ্ছে।
রেকর্ডের ডালি ভারি হয়েছে আরও তিন দিক বিবেচনায়। টেস্টে মাত্র ৬ষ্ঠ অধিনায়ক হিসেবে ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি। তার আগে তিন অজি অধিনায়ক ছাড়া এই ক্লাবে আছেন কেবল ব্রায়ান লারা এবং অ্যালিস্টার কুক। ম্যাচের হিসাবে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে ১০ হাজার রান পূরণ করেছেন স্মিথ। ১১১ ম্যাচে এই এলিট ক্লাবে যুক্ত হয়েছিলেন ব্রায়ান লারা। কুমার সাঙ্গাকারা এবং স্মিথ দুজনকে খেলতে হয়েছে ১১৫ ম্যাচ। ইউনিস খান খেলেছিলেন ১১৬ ম্যাচ। আর রিকি পন্টিংয়ের দরকার ছিল ১১৮ ম্যাচ।
অবশ্য ইনিংসের বিচারে তৃতীয় দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে এই ল্যান্ডমার্কে স্মিথ। ১৯৫ ইনিংসে ১০ হাজার রান পূরণ করেছিলেন ব্রায়ান লারা, কুমার সাঙ্গাকারা এবং শচীন টেন্ডুলকার। ১৯৬ ইনিংস খেলতে হয়েছিল ১৯৬ ইনিংস। আর গলে নিজের ২০৫তম ইনিংসে ১০ হাজার রান পূরণ করলেন স্টিভ স্মিথ।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত স্মিথ অবশ্য ছুটছেন আরও বড় স্কোরের দিকে। ট্রাভিস হেডের আগ্রাসী ইনিংসের সুবাদে শক্ত ভিত পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেটাকে মজবুত করেছেন স্মিথ ও উসমান খাজা। স্মিথ অপরাজিত আছেন ৬৩ রানে। আর খাজা পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা।
মেসেঞ্জার/জেআরটি