ছবি: সংগৃহীত
দুই প্রান্তে নেমেছিল ইউরোপিয়ান দুই সুপার হেভিওয়েট। রিয়াল মাদ্রিদ এবং বায়ার্ন মিউনিখ নিজ নিজ দেশের রেকর্ড চ্যাম্পিয়ন। ইউরোপের আঙ্গিনাতেও তাদের জুড়ি মেলা ভার। অথচ নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারাই ছিল প্রদীপের নিভু আলো। ৮ ম্যাচের লড়াই শেষে শীর্ষ আটে থেকে রাউন্ড অব সিক্সটিনে যাওয়া হলো না কারোরই।
পয়েন্ট টেবিলের সেরা আটে থাকার ক্ষীণ আশা শেষ বাঁশি পর্যন্ত জিইয়ে রাখতে নিজেদের ম্যাচে কেবল জিতলেই হতো না, ব্যবধানও রাখতে হতো বড়, সেই সঙ্গে অন্য ম্যাচের ফলও আসতে হতো পক্ষে। রিয়াল আর বায়ার্ন দুই দলই নিজেদের ম্যাচে পেয়েছে দাপুটে জয়। তবে সেটা তাদের সেরা আটে নেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল না কোনোভাবেই। দুই দলকেই খেলতে হবে প্লে-অফের মঞ্চে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ক্ষ্যাপাটে এক রাতের ফিক্সচারে রদ্রিগোর জোড়া গোলে ব্রেসের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে রিয়াল। আর ঘরের মাঠে স্লোভান ব্রাতিস্লাভাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বায়ার্ন। আট ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে ১১তম হয়েছে রিয়াল। সমান পয়েন্ট নিয়ে ১২তম বায়ার্ন। রিয়াল ও বায়ার্নের মতো আগেই শেষ ষোলোর প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল ব্রেস। ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৮তম ফরাসি দলটি।
রিয়াল মাদ্রিদ ৩ - ০ ব্রেস
নামের ভারে নিশ্চিতভাবেই পিছিয়ে ছিল ব্রেস। কিন্তু ম্যাচের শুরুতে রিয়ালকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল তারাই। প্রথম সাত মিনিটে গোলমুখে তিনটি শট নেয় তারা। এর মাখে মাথিয়াস পেরেইরার বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় কর্তোয়া ফিরিয়ে না দিলে লিড পেতে পারতো ব্রেস। রিয়ালও পাল্টা আক্রমণ শুরু করে নিজেদের খানিক গুছিয়ে নিয়ে।
এমবাপের দুই প্রচেষ্টায় গোল না এলেও রিয়াল ২৭তম মিনিটে এগিয়ে যায়। লুকা মদ্রিচের পাস থেকে বল পেয়ে দ্রুত ডি-বক্সে ঢুকে শট নেন রদ্রিগো। বল দূরের পোস্টে লেগে জালে জড়ায়। এই লিড নিয়েই বিরতিতে যায় রিয়াল। দ্বিতীয়ার্ধে ৫১ মিনিটে গোল হজম করলেও তা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। চার মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে রিয়াল। লুকাস ভাসকেসের পাস তজেলে সহজ গোল করেন বেলিংহাম।
৭৮তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন রদ্রিগো। তার পাস থেকে এমবাপের নেওয়া শট আটকে দেন গোলরক্ষক। ওই ফিরতি বল পেয়েই নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন রদ্রিগো।
বায়ার্ন মিউনিখ ৩ - ১ স্লোভান ব্রাতিস্লাভা
শুরু থেকে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় দাপুটে শুরু করে বায়ার্ন। ইউরোপিয়ান দলগুলোর বধ্যভূমি নামে পরিচিত এই মাঠ। আজ তার স্বাদ পেল ব্রাতিস্লাভা। ম্যাচের মাত্র অষ্টম মিনিটে আদায় করে নেয় গোল। জসুয়া কিমিখের ক্রসে দারুণ হেডে বল জালে পাঠান টমাস মুলার।
প্রথমার্ধে গোলের জন্য মোট ১৫টি শট নেয় বায়ার্ন, যদিও মাত্র তিনটিই লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। ফিনিশিংয়ের দুর্বলতায় বিরতির আগে আর ব্যবধান বাড়াতে পারেনি স্বাগতিকরা।
বিরতির পর প্রথম ২০ মিনিটেই তারা শট নেয় আরও সাতটি। গোলও পেয়েছিল সেই সময়ে। ৬৩তম মিনিটে হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হ্যারি কেইন। আর ৮৪তম মিনিটে ছয় গজ বক্সের বাঁ দিক থেকে কোনাকুনি শটে দলের তৃতীয় গোলটি করেন কিংসলে কোমান।
নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে সফরকারীদের সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন মার্কো তলিচ। আট ম্যাচের সবগুলো হেরে বিদায় নিল দলটি।
মেসেঞ্জার/জেআরটি