ঢাকা,  বৃহস্পতিবার
৩০ জানুয়ারি ২০২৫

The Daily Messenger

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল সিটির, ব্রাজিলিয়ানের গোলে গেল নকআউটে

মেসেঞ্জার স্পোর্টস

প্রকাশিত: ০৯:৪৭, ৩০ জানুয়ারি ২০২৫

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ল সিটির, ব্রাজিলিয়ানের গোলে গেল নকআউটে

ছবি: সংগৃহীত

শেষ কয়েক বছরে ম্যানচেস্টার সিটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এত বড় পরীক্ষার মুখে আর পড়েনি। প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেওয়া, এমন কিছু কোচ পেপ গার্দিওলাও তো দেখেননি তার ক্যারিয়ারে! এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রথমার্ধেন যেমন পারফর্ম করছিল সিটি, তাতে মনে হচ্ছিল সে অচিন্ত্যনীয় বিষয়টাই বুঝি হতে চলল। তবে সে ধারণাকে মিথ্যে প্রমাণ করে দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখে সিটি। 

ক্লাব ব্রুজকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ পর্যন্ত পরবর্তী প্লে অফ রাউন্ডে জায়গা করে নিয়েছে তারা। তবে সরাসরি শেষ ষোল নিশ্চিত করতে পারেনি বলে এখন তাদের মোকাবিলা করতে হবে ইউরোপের অন্যতম দুই পরাশক্তি রিয়াল মাদ্রিদ অথবা বায়ার্ন মিউনিখের মধ্যে যেকোনো এক দলকে!  

ম্যাচের শুরু থেকেই ব্রুজ আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলছিল। ইংলিশ চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ভয়ডরহীন খেলা দেখে মনে হচ্ছিল, বেলজিয়ান চ্যাম্পিয়নরা আজ অঘটন ঘটাতেই বুঝি এসেছে। ফরোয়ার্ড ক্রিস্টোস টজোলিস সিটির রক্ষণকে বারবার হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছিলেন বারে বারে। প্রথমার্ধের একদম শেষ মুহূর্তে তারই বাড়ানো বল থেকে রাফায়েল ওনিয়েদিকা গোল করে ব্রুজকে এগিয়ে দেন।  

সেই এক গোল এতিহাদ স্টেডিয়ামে তখন সিটির সমর্থকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ এনে দেয়। প্রশ্ন উঠে যাচ্ছিল, নতুন ফরম্যাটে নিজেদের প্রথম সাত ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি জেতা সিটি কি এবার গ্রুপ পর্বেই বাদ পড়বে? 

এমন পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হলে সিটিকে দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ কিছু করতেই হতো। গার্দিওলার দল সেটা করেছে ঠিকঠাক। পরিস্থিতিটা বদলেছে গার্দিওলার করা এক বদলিতে। শুরুতেই তিনি বদলি হিসেবে নামালেন তরুণ ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার সাভিনিওকে, আর এরপরই বদলে যেতে থাকে ম্যাচের গতিপথ।  

৫৩ মিনিটে মাতেও কোভাচিচ দূরপাল্লার শটে দুর্দান্ত গোল করে সমতা ফেরান। এরপর থেকে সিটির জয়সূচক গোলের খোঁজে আক্রমণের তোড় বাড়ছিলই কেবল। সে ধাক্কাটা আর সামলাতে পারেনি ব্রুজ। মাত্র ৯ মিনিটের ব্যবধানে ব্রুজের ডিফেন্ডার জোয়েল ওর্ডোনেজ নিজেদের জালেই বল পাঠিয়ে দেন, যা সিটিকে এগিয়ে দেয়। এরপর ৭৭ মিনিটে সাভিনিও এক দৃষ্টিনন্দন গোল করে গার্দিওলার দলকে পূর্ণ স্বস্তি এনে দেন।  

তবে ম্যাচের একপর্যায়ে যখন সিটির সুযোগগুলো হাতছাড়া হচ্ছিল, তখন গার্দিওলার রাগ আর উদ্বেগ ফুটে উঠেছিল স্পষ্টতই। এমনকি একবার তো তিনি পানির বোতল ছুড়ে ফেলে নিজের রাগও ঝেড়েছেন! তবে শেষ বাঁশি বাজার আগে ব্রুজর কোচ নিকি হায়েনের সঙ্গে হাসিমুখে হাত মেলান গার্দিওলা, যা বুঝিয়ে দেয় শেষ পর্যন্ত তিনি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পেরেছেন।  

তবে তার মুখে এই স্বস্তির হাসি খুব বেশি দিন টেকার নয়। এই জয়ে আপাতত প্লে অফে ওঠা গেছে ঠিক, কিন্তু সামনে যে অপেক্ষা করছে আরও বড় পরীক্ষা। 

মেসেঞ্জার/জেআরটি